কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা চুক্তিসমূহ (Performance Management Agreements) বলতে সাধারণত সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বা কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের একটি চুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থাপনাকে বোঝানো হয়, যার মাধ্যমে কর্মক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ, মূল্যায়ন ও পর্যালোচনার জন্য একটি কাঠামো তৈরি করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার ২০১৪ সাল থেকে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা চুক্তি (কেবিচু) চালু করেছে, যাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও দপ্তরের কার্যসম্পাদনকে সুসংগঠিত ও ফলাফলভিত্তিক করার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়।
লক্ষ্য নির্ধারণ – বার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিটি সংস্থার জন্য বাস্তবভিত্তিক ও পরিমাপযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
দায়িত্ব নির্ধারণ – কোন কর্মকর্তা বা ইউনিট কোন লক্ষ্যের জন্য দায়ী, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়।
মূল্যায়ন – বছরের শেষে কর্মসম্পাদনের পর্যালোচনা ও স্কোর দেওয়া হয়।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা – সরকারি কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এটি সহায়ক।
উন্নয়ন পরিকল্পনা – দুর্বলতা চিহ্নিত করে ভবিষ্যতের জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা যায়।
একটি মন্ত্রণালয়ের কেবিচুতে থাকতে পারে:
উদ্দেশ্য: দারিদ্র্য হ্রাস
লক্ষ্য: ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ লাখ পরিবারকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় আনা
কর্মসূচি: ভাতা প্রদান, প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম
পরিমাপের মানদণ্ড: বাস্তবায়নের শতকরা হার, উপকারভোগীর সংখ্যা, মনিটরিং রিপোর্টের গুণমান
চুক্তি স্বাক্ষর: সচিব ও মন্ত্রী/প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মধ্যে
বাস্তবায়ন: নির্ধারিত সময় ও কার্যক্রম অনুযায়ী
মাঝামাঝি মূল্যায়ন ও মনিটরিং
চূড়ান্ত মূল্যায়ন: বছরের শেষে কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন ও স্কোর প্রদান
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস