Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা চুক্তিসমূহ

কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা চুক্তিসমূহ (Performance Management Agreements) বলতে সাধারণত সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বা কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের একটি চুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থাপনাকে বোঝানো হয়, যার মাধ্যমে কর্মক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ, মূল্যায়ন ও পর্যালোচনার জন্য একটি কাঠামো তৈরি করা হয়।

বাংলাদেশে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা চুক্তি (কেবিচু)

বাংলাদেশ সরকার ২০১৪ সাল থেকে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা চুক্তি (কেবিচু) চালু করেছে, যাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও দপ্তরের কার্যসম্পাদনকে সুসংগঠিত ও ফলাফলভিত্তিক করার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়।


কেবিচুর মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:

  1. লক্ষ্য নির্ধারণ – বার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিটি সংস্থার জন্য বাস্তবভিত্তিক ও পরিমাপযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

  2. দায়িত্ব নির্ধারণ – কোন কর্মকর্তা বা ইউনিট কোন লক্ষ্যের জন্য দায়ী, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়।

  3. মূল্যায়ন – বছরের শেষে কর্মসম্পাদনের পর্যালোচনা ও স্কোর দেওয়া হয়।

  4. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা – সরকারি কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এটি সহায়ক।

  5. উন্নয়ন পরিকল্পনা – দুর্বলতা চিহ্নিত করে ভবিষ্যতের জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা যায়।


উদাহরণ:

একটি মন্ত্রণালয়ের কেবিচুতে থাকতে পারে:

  • উদ্দেশ্য: দারিদ্র্য হ্রাস

  • লক্ষ্য: ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ লাখ পরিবারকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় আনা

  • কর্মসূচি: ভাতা প্রদান, প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম

  • পরিমাপের মানদণ্ড: বাস্তবায়নের শতকরা হার, উপকারভোগীর সংখ্যা, মনিটরিং রিপোর্টের গুণমান


কেবিচু প্রক্রিয়া:

  1. চুক্তি স্বাক্ষর: সচিব ও মন্ত্রী/প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মধ্যে

  2. বাস্তবায়ন: নির্ধারিত সময় ও কার্যক্রম অনুযায়ী

  3. মাঝামাঝি মূল্যায়ন ও মনিটরিং

  4. চূড়ান্ত মূল্যায়ন: বছরের শেষে কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন ও স্কোর প্রদান