Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

অর্জনসমুহ

প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার (Primary Teachers' Training Center -PTI) বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এই কেন্দ্রসমূহের মূল কাজ হলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা, যাতে তারা আরো দক্ষ, যুগোপযোগী এবং শিশু-বান্ধব উপায়ে পাঠদান করতে পারেন। নিচে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার (PTI)–এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্জন তুলে ধরা হলো:


🏆 প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার (PTI)-এর অর্জনসমূহ:

1. শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি

  • সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণকে নিয়মিত ইন-সার্ভিস ও প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

  • Certificate in Education (C-in-Ed) কোর্সের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের সুযোগ।

  • আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদান বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি।

2. প্রশিক্ষণ কৌশলে আধুনিকায়ন

  • ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করে ICT-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ চালু।

  • মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম পরিচালনায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ।

  • শিক্ষক প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক এবং অংশগ্রহণমূলক (participatory) পদ্ধতির ব্যবহার।

3. মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ উপকরণ তৈরি

  • জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (NCTB) নির্দেশনায় প্রশিক্ষণ মডিউল প্রণয়ন।

  • প্রশিক্ষণের জন্য বিষয়ভিত্তিক গাইড ও হ্যান্ডবুক সরবরাহ।

4. বিদ্যালয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ (SLIP/ELIP)

  • স্কুল-ভিত্তিক শিক্ষা উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সহায়তা।

  • শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদেরকে নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ।

5. In-service প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ

  • শিক্ষক নিয়োগের পর বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।

  • Continuous Professional Development (CPD) কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

6. ই-লার্নিং ও অনলাইন প্রশিক্ষণ চালু

  • অনলাইন মডিউলের মাধ্যমে শিক্ষক প্রশিক্ষণ চালানো হয়েছে (বিশেষত কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে)।

  • a2i ও NCTB-এর সহযোগিতায় “Muktopaath”, “Shikkhok Batayon” এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ সংযুক্ত।

7. Monitoring ও Evaluation ব্যবস্থার উন্নয়ন

  • প্রশিক্ষণের গুণগত মান পর্যবেক্ষণের জন্য নিয়মিত মনিটরিং ও ফলোআপ চালু।

  • শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উপর মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়।


সামগ্রিক প্রভাব:

✅ প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি
✅ শিক্ষার্থীর ফলাফলে উন্নতি
✅ শিক্ষকদের আত্মবিশ্বাস ও পেশাগত আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি
✅ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি